শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখবে বাঁশরী ওয়াদুদ ফুটবল টুর্নামেন্ট : ওয়াদুদ ভূইয়া। কালের খবর গুইমারায় অস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। কালের খবর মাকে ৭ বছর পর পেয়ে জড়িয়ে ধরলেন তারেক রহমান। কালের খবর জমি দখলে বেপরোয়া রুহুল আমিন হাওলাদার। কালের খবর মাটিরাঙায় সেনা অভিযানে ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ। কালের খবর দুর্গম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেনাবাহিনীর শিক্ষা উপকরণ বিতরণ। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় তারুণ্যের উৎসবে বর্ণাঢ্য র‍্যালি। কালের খবর খাগড়াছড়িতে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর মুন্সিগঞ্জে জাতীয় পার্টির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত। ।
নবীনগরে নৈশপ্রহরীর বেতনের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজার কমিটির আত্মসাৎ। কালের খবর

নবীনগরে নৈশপ্রহরীর বেতনের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজার কমিটির আত্মসাৎ। কালের খবর

মোঃ বাবুল, কালের খবর :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা বাজারে বছরে নৈশপ্রহরী বেতনের নামে তোলা লক্ষ লক্ষ টাকা বাজার কমিটি’র নেতাদের পকেটে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, কোন রকম রশিদ ছাড়াই উক্ত বাজারে তিনটি শপিংমলসহ প্রায় সহশ্রাধীক দোকান ও গোডাউন মিলিয়ে ছোট বড় দোকান থেকে প্রতিমাসে বিভিন্ন হারে নৈশপ্রহরীর বেতনের নামে মোটা অংকের টাকা তোলা হচ্ছে। বাজারের পাহারায় কর্মরত মাত্র ৮জন পাহারাদারকে যতসামান্য বেতন দেওয়া হয়। বাকী টাকা চলে যাচ্ছে নেতাদের পকেটে ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নে বাঙ্গরা এলাকাটি উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ন বানিজ্য এলাকা। ওই বানিজ্যিক এলাকার বাঙ্গরা বাজারে মোবারক প্লাজা,নিউওয়ে চেয়ারম্যান প্লাজা,মোর্শেদ প্লাজা নামে তিনটি শপিংমল রয়েছে। ওই শপিংমলগুলোতে প্রায় সাড়ে ৪শত দোকান রয়েছে। চলমান দোকান রয়েছে প্রায় ৩শতটি। শপিংমলের এসব চলমান প্রতিটি দোকান থেকে রশিদ ছাড়া ১০০ ও ১৫০ টাকা করে প্রতিমাসে নৈশপ্রহরীর নামে তোলা হয়। বাজারের অনান্য বাকী প্রায় ৬০০ দোকান ও গোডাউনের প্রতিমাসে প্রতিটি থেকে ৩০০ টাকা করে তোলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারের সহশ্রাধীক দোকান থেকে বছরে ২৫ লাখের অধিক টাকা নৈশপ্রহরীর নামে তোলা হয়। এসব দোকান পাহারা দেওয়ার জন্য মাত্র ৮জন প্রহরীকে জনপ্রতি মাসে ৯ হাজার টাকা করে বছরে তাদের দেওয়া হয় ৮,৪৬,০০০ হাজার টাকা। বছরের বাকী প্রায় ১৭ লাখ টাকা বাজার কমিটির নেতা ও ম্যানেজ হওয়া বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পকেটে চলে যাচ্ছে। দোকান মালিকরা অভিযোগ করেন,বাজার কমিটি লোকজন কোন সচ্ছতা ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছেমতেই বাজারটাকে নিয়ন্ত্রন করছে। কমিটির কোন মিটিং হয় না তারা কোন হিসাব নিকাশ দেয় না। রশিদের মাধ্যমে টাকা তোলার কথা থাকলেও সেটা তারা মানছেন না।
বাজারের মুদি দোকানি বিশ্বজিত,কেশব,সনাতন, জানান,প্রতিটি গোডাউন ও দোকান থেকে ৩০০টাকা পাহারার জন্য তুলে নিয়ে যায় কিন্তু কোন রশিদ দেয় না।
নিউওয়ে চেয়ারম্যান প্লাজার ব্যবসায়ী বাছির,মোর্শেদ প্লাজার ব্যাবসায়ী মাসুদ,মোবারক প্লাজার ইব্রাহিম জানান,মাকের্টের প্রতিটি দোকান থেকে ১০০/১৫০ টাকা করে পাহারার বিল দিতে হয়।
বাজারের প্রবীন পাহারাদার আবদুস সালাম জানান, তারা ৮জন পুরো বাজারে পাহারা দেয়,৯হাজার টাকা যে বেতন দেওয়া হয় তাদিয়ে তাদের সংসার চলে না ।
বাঙ্গরা বাজারে দোকান মালিক মোঃ নাছিম বলেন,পাহারাদারের নামে যে টাকা তোলা হয় সেটা প্রতিমাসেই ভাগবাটোয়ারা করা হয়। কোন আয় ব্যায়ের হিসাব নেই ,রশিদ ছাড়াই টাকা তোলা হয়। রশিদ না থাকার কারনে দেখা যায় মাসে একাধিকবারও টাকা তোলা হয়।
এ ব্যাপারে বাজার কমিটির সেক্রেটারী আবদুল কুদ্দুছ প্লাজার দোকানগুলো থেকে টাকা তুলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,ছোট বড় দোকান মিলিয়ে যে টাকা তোলা হয় তা দিয়ে অনেক মাসেই তাদের বেতনের টাকা উঠে আসে না।
এ ব্যাপারে বাজার কমিটি সভাপতি রবিউল আউয়াল রবি,তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে কড়া ভাষায় বলেন, কোন দোকান থেকে ৩০০ করে নেওয়া হয় আমার সামনা সামনি এসে বলুক। বাজার কমিটির কোন আয় নেয়, সর্দারের কাছে রশিদ বই দেওয়া আছে সে রশিদ দিয়ে টাকা তুলে কি না আমি জানিনা।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com